ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ- ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z

Must read

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ এবং আধুনিক এই যুগে এসে পরিবর্তিত হয়েছে প্রচারণার ধরণ। ইন্টারনেট এর কারনে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রচারণাও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকে আমরা জানবো “ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z: সফলতার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড

ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার কাজকে এক কথায় বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং । ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি দক্ষতা যেটি একই সাথে চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং, এবং নিজের ব্যবসার হাতিয়ার। আপনার যদি উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন থাকে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং সব চেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে । ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অল্প সময় ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক সফলতার পাওয়া সম্ভব। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ডিভাইস ব্যবহার করে সারা বিশ্বে কোন পণ্যের, প্রতিষ্ঠানের অথবা ব্র্যান্ডের প্রচারণা করা বা বিজ্ঞাপন দেওয়া। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর ৭৫% মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্ল্যাটফর্ম গুলো নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই মানুষগুলোর কাছে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিতি পাওয়া এবং ব্যবসার মাধ্যমকে সমৃদ্ধ করা। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা বেশি এবং লাভজনক। ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ওয়েব-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন এর পাশাপাশি এসএমএস, অডিও মার্কেটিং চ্যানেল, ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসাসহ আরো বিভিন্ন কাজ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। প্রথমত ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান এবং ধারণা থাকা জরুরী। ইউটিউবে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বেসিক ধারণা বলি জেনে রাখা সম্ভব। ইউটিউবে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং ভিত্তিক লক্ষ লক্ষ ভিডিও ব্লগ এবং কন্টেন্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি মাত্র বিষয় নিয়ে তেমনটি কিন্তু নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে এবং এটি শেখার জন্য একটি আইটি সেক্টর নির্ধারণ করে অনলাইন অথবা অফলাইন কোর্স করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি আইডি কোম্পানিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে অথবা মেন্টরের সাহায্য নিয়ে কোর্সটি সম্পন্ন করতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z – গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো


ডিজিটাল মার্কেটিং কে কেন্দ্র করে যে প্রধান কয়েকটি কাজ হয়ে থাকে সেগুলো হলো,

১.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি প্রধান অংশ জুড়ে রয়েছে আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট, অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট প্রমোট করা সম্ভব। অনলাইনে কেনা যাবে এমন যেকোনো জিনিস, নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে “আ্যফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে“ প্রোমোট করা যায় এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

২.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল কোন প্রোডাক্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে প্রমোট করা এবং মার্কেটিং করে, সেটিকে কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য যে সমস্ত জিনিস গুলি করে থাকে সেগুলো করা। এক কথায় বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করলে তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে টার্গেটের প্রোডাক্টস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।

যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এ, এই ধরনের মার্কেটিং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, সেই কারণে এই ধরনের মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।

৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের খোঁজকৃত ফলাফলের তালিকা প্রথমদিকে দেখানোর চেষ্টা করা । এটি একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজের প্রথম সারিতে নিয়ে আসার দক্ষতা বা কৌশল। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া পাশাপাশি এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা এবং সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।

৪.সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (এসইএম) স্যার ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সাথে সম্পর্কিত হলেও, সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কে সংক্ষেপে বলা হয় এসইএম (SEM)। ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা সেলস বাড়ানোই এসইএম এর প্রধান উদ্দেশ্য। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ড এবং ছোট বড় অনেক কোম্পানি তাদের প্রচার প্রচারণার জন্য সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অর্থাৎ এসইএম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

৫.ইমেল মার্কেটিং।

মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনে, কোন প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে কোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ বা লগ ইন করে থাকে তখন সেই ওয়েবসাইট তাদের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে প্রায়ই বিভিন্ন ইমেইল পাঠিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের এই ইমেইল পাঠানোকেই মূলত ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটালভাবে পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানোর একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতা বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি।  

ডিজিটাল মার্কেটিং কে কেন্দ্র করে যে প্রধান কয়েকটি কাজ হয়ে থাকে সেগুলো হলো, 

১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি প্রধান অংশ জুড়ে রয়েছে  আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি  এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট, অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট প্রমোট করা সম্ভব।  অনলাইনে কেনা যাবে এমন যেকোনো জিনিস, নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে “আ্যফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে“ প্রোমোট করা যায় এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চেকলিস্ট

১. সঠিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন – আপনার দর্শকদের সাথে সম্পর্কিত এবং বিশ্বস্ত প্রোগ্রাম বেছে নিন।
২. প্রোডাক্ট রিভিউ লিখুন – প্রোডাক্টের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে সঠিকভাবে আলোচনা করুন।
৩. কাস্টমার রেটিং এবং টেস্টিমোনিয়াল ব্যবহার করুন – ব্যবহারকারীদের রেটিং এবং মতামত দিয়ে প্রোডাক্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ান।
৪. পার্সোনাল টাচ দিন – প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
৫. প্রসেস সহজ রাখুন – অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি পরিষ্কার এবং সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য করুন।
৬. বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করুন – ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, ইউটিউব প্রভৃতি মাধ্যমে প্রোমোট করুন।
৭. অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ট্র্যাক করুন – আপনার লিঙ্কের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করার জন্য টুল ব্যবহার করুন।
৮. এফিলিয়েট ডিসক্লেইমার দিন – প্রয়োজনীয় আইনগত নির্দেশনা এবং ডিসক্লেইমার অ্যাড করুন।
৯. এফিলিয়েট কোড এবং ডিসকাউন্ট অফার করুন – আপনার দর্শকদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ ডিসকাউন্ট এবং কোড শেয়ার করুন।
১০. এসইও এবং কনটেন্ট মার্কেটিং অপটিমাইজ করুন – আপনার অ্যাফিলিয়েট কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে অনুকূল করুন।

পরামর্শ

  • প্রোডাক্টের সত্যতা এবং যোগ্যতা প্রমাণের জন্য নিজস্ব পরীক্ষাও করানো যেতে পারে।
  • লক্ষ্য শ্রোতার জন্য কাস্টমাইজড এবং প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব দিন।

২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল কোন প্রোডাক্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে প্রমোট করা এবং মার্কেটিং করে, সেটিকে কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য যে সমস্ত জিনিস গুলি করে থাকে সেগুলো করা। এক কথায় বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করলে তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই  টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে টার্গেটের প্রোডাক্টস পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।  

যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এ, এই ধরনের মার্কেটিং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, সেই কারণে এই ধরনের মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চেকলিস্ট

১. লক্ষ্য শ্রোতা চিহ্নিত করুন – আপনি কাকে লক্ষ্য করছেন এবং তাদের কী প্রয়োজন?
২. উপযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন – ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি।
৩. নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করুন – বিভিন্ন সময়ে আকর্ষণীয় কনটেন্ট শেয়ার করুন।
৪. উদ্বুদ্ধকারী ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন – আপনার পোস্টকে আকর্ষণীয় করতে গ্রাফিক্স, ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন।
৫. কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করুন – একটি পরিকল্পিত কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করুন, যাতে আপনি নিয়মিত পোস্ট করতে পারেন।
৬. হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন – প্রাসঙ্গিক এবং ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কনটেন্টের অ্যাক্সেস বাড়ান।
৭. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং – ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কাজ করে আপনার ব্র্যান্ডের প্রবৃদ্ধি বাড়ান।
৮. পাঠকদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন – মন্তব্য, মেসেজ এবং শেয়ারে আপনার ফলোয়ারদের সাথে যুক্ত থাকুন।
৯. এনগেজমেন্ট ট্র্যাক করুন – সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্টের ফলাফল (লাইক, শেয়ার, কমেন্ট) পর্যবেক্ষণ করুন।
১০. অ্যাড ক্যম্পেইন চালান – সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড প্ল্যানের মাধ্যমে ব্র্যান্ড এক্সপোজার বাড়ান।

পরামর্শ

  • আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের বিশদ বিবরণ ঠিক করুন।
  • প্রতি সপ্তাহে কনটেন্টের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন এবং পরবর্তী কনটেন্টে পরিবর্তন আনুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডস অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরির চেষ্টা করুন।

৩.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের খোঁজকৃত ফলাফলের তালিকা প্রথমদিকে দেখানোর চেষ্টা করা । এটি একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজের প্রথম সারিতে নিয়ে আসার দক্ষতা বা কৌশল।  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া পাশাপাশি এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা এবং সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।

এসইও চেকলিস্ট

১. কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন – ভালো সার্চ ভলিউম এবং কম প্রতিযোগিতামূলক কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
২. হেডিং এবং সাবহেডিং ব্যবহার করুন – প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ডসহ H1, H2, H3 ব্যবহার করুন।
৩. ইউআরএল অপ্টিমাইজ করুন – ছোট এবং কিওয়ার্ডযুক্ত ইউআরএল রাখুন।
৪. মেটা টাইটেল ও মেটা ডিসক্রিপশন – আকর্ষণীয়, কিওয়ার্ড-সমৃদ্ধ এবং ব্যবহারকারীদের ক্লিক করাতে উৎসাহিত করবে এমন মেটা ট্যাগ ব্যবহার করুন।
৫. ইমেজ অপ্টিমাইজ করুন – অল্ট টেক্সট এবং কমপ্রেসড ফাইল ব্যবহার করুন।
৬. ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল লিংকিং – রিলেটেড কন্টেন্ট লিঙ্ক করুন এবং অথরিটি সাইট থেকে রেফারেন্স দিন।
৭. রিডেবিলিটি বজায় রাখুন – ছোট বাক্য ব্যবহার করুন এবং প্যারাগ্রাফ ভেঙে লেখার স্ট্রাকচার বানান।
৮. মোবাইল ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট – মোবাইল ডিভাইসে ভিউ করার জন্য অপ্টিমাইজ করুন।
৯. লিড জেনারেশনের জন্য কল-টু-অ্যাকশন (CTA) – সঠিক স্থানে CTA রাখুন।
১০. এসইও অডিট টুল ব্যবহার করুন – ভুলগুলো শনাক্ত করতে ফ্রি বা পেইড এসইও টুল ব্যবহার করুন।

পরামর্শ

  • এসইও স্ট্র্যাটেজির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার মতো আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরির দিকে মনোযোগ দিন।
  • কন্টেন্টের ভ্যালু এবং ব্যবহারকারীর সমস্যা সমাধানের দিকে ফোকাস করুন।

৪. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (এসইএম) স্যার ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সাথে সম্পর্কিত হলেও, সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতিকে  সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কে সংক্ষেপে বলা হয় এসইএম (SEM)। ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা সেলস বাড়ানোই এসইএম এর প্রধান উদ্দেশ্য। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ড এবং ছোট বড় অনেক কোম্পানি তাদের প্রচার প্রচারণার জন্য সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অর্থাৎ এসইএম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

৫.ইমেল মার্কেটিং।

মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনে, কোন প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে কোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ বা লগ ইন করে থাকে তখন সেই ওয়েবসাইট তাদের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে প্রায়ই বিভিন্ন ইমেইল পাঠিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের এই ইমেইল পাঠানোকেই মূলত ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটালভাবে পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানোর একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতা বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ।

আশা করছি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z – গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । বর্তমান সময় ক্যারিয়ার বা পেশা  হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেশ ব্যাপক বলা যেতে পারে। বাংলাদেশী  বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি গুলোতে প্রতিনিয়তই ডিজিটাল মার্কেটিং চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশাল মার্কেটেও ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন।

বর্তমানে ৮৪% মার্কেটার তাদের পণ্য বিক্রয় করার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে এবং ৫৫% ক্রেতা পণ্য ক্রয় করার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল রয়েছে। যেহেতু  ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়ে যাচ্ছে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ  অনেক বেশি এবং  ব্যবহার এর কার্যকারিতা রয়েছে।

তাই বলা যেতে পারে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। 

বাংলাদেশে অনেক তরুণ ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। শুধু  কোম্পানিতেই নয়, তারা নিজেরাও উদ্যোক্তা হয়ে নিজস্ব  ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে  মার্কেটিং এর কাজ  খুব দ্রুতভাবে সম্পন্ন করতে পারছে এবং প্রচুর পরিমাণে টাকা নিজের ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট থাকলেই ১৫-২৫ দিনে জার্মানিতে কাজের সুযোগ!

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article