বাংলাদেশে এখন এক নতুন ধরনের উদ্যোক্তা সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। আগে যেখানে ব্যবসা বলতে বড় কারখানা বা আমদানি–রপ্তানি বোঝানো হতো, এখন সেখানে তরুণরা ল্যাপটপে বসেই এমন সব সমাধান তৈরি করছে, যা সরাসরি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে।
নতুন প্রজন্ম সমস্যাকে আলাদা চোখে দেখে। তারা সমস্যায় সম্ভাবনা খুঁজে পায়। কেউ স্বাস্থ্যসেবার জটিলতা দেখে অনলাইন ডাক্তার সেবা তৈরি করছে, কেউ দেখছে শিক্ষা ব্যবস্থা আরও সহজ হতে পারে, আবার কেউ দেখছে কৃষকের উৎপাদন থেকে ক্রেতার হাত পর্যন্ত যাত্রাটা আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হতে পারে।
এই উদ্যোগগুলো শুধু ব্যবসা তৈরি করছে না—বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বদলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে, স্কিল শেখা সহজ হচ্ছে, টাকা লেনদেন নিরাপদ হচ্ছে, আর গ্রামের কৃষকও শহরের ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে।
এত দ্রুত এই পরিবর্তনগুলো সম্ভব হচ্ছে কারণ দেশের তরুণেরা এখন প্রযুক্তির ব্যবহার খুব ভালো বোঝে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীর আচরণও বদলে গেছে—মানুষ এখন মোবাইলেই সমাধান চায়। সরকারও ডিজিটাল উদ্যোগকে উৎসাহ দিচ্ছে, ফলে পুরো ইকোসিস্টেমে একটা ইতিবাচক গতি তৈরি হয়েছে।
অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আছে—ফান্ডিং কমে যাওয়া, নিয়ম-কানুন, দক্ষ লোক ধরে রাখা—সবই বাস্তব চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তরুণরা এই বাধাগুলোকে ভয় পাচ্ছে না। বরং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ থেকেই তারা নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছে।
সব মিলিয়ে মনে হয়—বাংলাদেশের স্টার্টআপের উত্থান আসলে একটি নতুন প্রজন্মের গল্প, যারা কেবল নিজের জন্য নয়, বরং দেশের জন্য কিছু করতে চায়। আর এই যাত্রা এখনই শুরু হয়েছে।




