বাংলাদেশি রাইড-শেয়ার কোম্পানি পাঠাও নেপালে বেশ সাফল্য পেয়েছে। তারা সেখানকার ১৭টি শহরে সেবা দিচ্ছে এবং খাবার ডেলিভারিসহ বিভিন্ন সেবা চালু করেছে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব একটা ভালো নেই। ট্যাক্সিও অনেক দামি। তাই রাইড-শেয়ার সেবাগুলো সেখানকার মানুষের জন্য বেশ উপকারী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য।
বাংলাদেশ থেকে নেপাল গিয়ে অনেকেই পাঠাও ব্যবহার করে অবাক হয়েছেন। কারণ, ঢাকার মতো সহজেই সেখানেও পাঠাও পাওয়া যায়।
নেপালে পাঠাও ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে। এর আগে থেকেই নেপালে অন্য কিছু রাইড-শেয়ার কোম্পানি ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে সরকার একসময় এই সেবাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে মানুষের চাপে সরকার পিছু হটে।
এখন নেপালে পাঠাও, টুটল, ইনড্রাইভসহ আরও কয়েকটি কোম্পানি কাজ করছে। কিন্তু স্থানীয়দের কথা শুনলে মনে হয়, পাঠাও এখন নেপালের বাজারে এগিয়ে।
কাঠমান্ডুতে পাঠাও ব্যবহারকারী এবং রাইডারদের সংখ্যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু কাঠমান্ডুর জনসংখ্যাও ঢাকার চেয়ে অনেক কম। তাই আসলে পাঠাও নেপালে ভালো করছে বলা যায়।
নেপালে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাব, বেশিরবাগ নারীরাই পাঠাও ব্যবহার করে থাকে এবং পর্যটকদের পছন্দের মধ্যেও পাঠাও।
পাঠাও নেপালে প্রথম বাইক রাইড-শেয়ার দিয়ে শুরু করে। তারপর গাড়ি, আর এখন খাবার ডেলিভারি সেবা চালু করেছে। নেপালের পাহাড়ি এলাকার কারণে তারা বেশিরভাগ খাবার বাইকে করে ডেলিভারি দেয়। এতে খরচ কম হয়।
তবে কিছু সমস্যার সমুক্ষিন হচ্ছে পাঠাও। অন্য কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা, মানচিত্রের সমস্যা ইত্যাদি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে তারা ভালো করছে।
নেপালের ই-কমার্স সেক্টর এখনো শুরুর দিকে। প্যাথও সেখানে ভালো সুযোগ পেয়েছে। তারা প্রথম কাঠমান্ডুতে ভালো করার পর অন্য শহরে ছড়িয়েছে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, প্যাথও নেপালে বাংলাদেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে।