গেম!!! শব্দটা কারো কাছে ফান, কারো কাছে addiction, কারো কাছে ভয়, আবার কারো কাছে ক্যারিয়ার। তবে সাধারণত আমরা গেম এর ক্যারিয়ার বলতে স্ট্রিমার, অথবা গেম নিয়ে কনটেন্ট মেকিং কে এমন মানুষদের বুজি, but there is lots more… আপনি কখনো ভেবেছেন? যেসব গেম আপনি খেলেন, সেগুলো তৈরি হয় কীভাবে?
হয়তো ভাবেননি… কিন্তু ভাবুন তো, PUBG, Free fire আর Candy Crush—এগুলো কি শুধুই বিনোদনের জন্য?
না, এগুলোর পেছনে রয়েছে এমন এক রহস্যময় জগৎ, যেটার কথা অনেকেই জানে না।
আজকে আমি আপনাদের নিয়ে যাব সেই অদেখা দুনিয়ায়, গেম ডেভেলপমেন্ট—কীভাবে একটা ছোট্ট আইডিয়া বিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট এ পরিণত হয়।
এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো, গেম ডেভেলপমেন্ট কী? Gaming platforms, গেমের ধরন বা ক্যাটাগরি, গেম ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, ক্যারিয়ার, এবং ইনকাম এবং গেম ডেভেলপমেন্টে কী শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে কিনা?
এবার মূল আলোচনায় যাই, গেম ডেভেলপমেন্ট কী?
গেম ডেভেলপমেন্ট হল সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটা গেম তৈরি করা হয়। এটা শুরু হয় একটা আইডিয়া থেকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমি বলি, ‘একটা গেম বানাব যেখানে খেলোয়াড় একটি মহাকাশযানে চড়ে গ্রহ ঘুরবে’—এটা একটা আইডিয়া। এরপর সেই আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় পরিকল্পনা, ডিজাইন, প্রোগ্রামিং এবং টেস্টিং। ধরুন, আপনি একটি মুভি তৈরি করতে চাইছেন। মুভি তৈরি করতে গেলে আপনার কিছু টুলস লাগবে, তাই তো? যেমন ক্যামেরা, লাইট, পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সেটআপ। তারপর অভিনেতা-অভিনেত্রী, অ্যানিমেটর, ডিজাইনার, মেকআপ আর্টিস্ট—এরা সবাই মিলে কাজ করে একটি মুভি সম্পূর্ণ করে।
ঠিক তেমনই, একটি গেম তৈরি করতে গেলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় টুলস এবং মানুষজন লাগবে। যেমন:
- প্রোগ্রামার, যারা কোডিং করে গেমের মেকানিক্স তৈরি করবে।
- ২ডি/৩ডি আর্টিস্ট, যারা চরিত্র এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন করবে।
- স্ক্রিপ্ট বা স্টোরি রাইটার, যারা গেমের গল্প লিখবে।
- অ্যানিমেটর, যারা চরিত্রগুলোতে প্রাণ যোগাবে।
- Sound Designer
তবে এটা শুনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ঠিক যেমন আপনি চাইলে একটি শর্টফিল্ম একা বানাতে পারেন, বেশিরভাগ কাজ নিজে করে, তেমনি আপনি একা একা একটি গেমও তৈরি করতে পারেন। ছোট্ট একটি গেম তৈরি করার জন্য অনেক সময় বড় টিমের প্রয়োজন হয় না। আপনার কেবল শেখার ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলেই যথেষ্ট।
তাই শুরু করার জন্য দেরি করবেন না। প্রথমে ছোট ছোট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করুন। একদিন দেখবেন, আপনি আপনার স্বপ্নের গেম তৈরি করতে পেরেছেন।
A game developer could be a programmer, a sound designer, an artist, a designer or many other roles available in the industry.
Gaming platforms
“আমরা গেমিং বলতে অনেক কিছু বুঝি, Initially let’s talk about the platforms then the genre.
১. মোবাইল গেমস (Mobile Games):
যে গেমগুলো আমরা আমাদের ফোনে খেলি। Candy Crush, PUBG Mobile, কিংবা Free Fire-এর মতো গেমগুলো মোবাইল গেমের Example. সহজে অ্যাকসেসযোগ্য, যেকোনো জায়গায় খেলা যায়।
২. কনসোল গেমস (Console Games):
PlayStation, Xbox, বা Nintendo Switch-এর মতো ডিভাইসে খেলা হয় এই গেমগুলো। God of War বা The Legend of Zelda এর উদাহরণ। এগুলো হাই-গ্রাফিক্স এবং বড় স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা দেয়।
৩. পিসি গেমস (PC Games):
কম্পিউটারে খেলা গেমগুলো পিসি গেম হিসেবে পরিচিত। Minecraft, GTA V, কিংবা DOTA 2 এর উদাহরণ। পিসিতে কাস্টমাইজেশনের সুবিধা থাকায় এটি অনেকের প্রিয়।
৪. ভিআর/এআর গেমস (VR/AR Games):
ভিআর (Virtual Reality) গেমের মাধ্যমে আপনি গেমের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারবেন। আর এআর (Augmented Reality) বাস্তবের সাথে ভার্চুয়াল এলিমেন্ট যোগ করে, যেমন Pokémon GO।
৫. ব্রাউজার/ক্লাউড গেমস (Browser/Cloud Games):
যেসব গেম ইন্টারনেট ব্রাউজারে বা ক্লাউডের মাধ্যমে খেলা যায়। উদাহরণ: Krunker.io বা ক্লাউড গেমিং এর Fortnite। এগুলোতে আলাদা ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।
গেমের ধরন বা ক্যাটাগরি
“গেম মূলত বিভিন্ন ধরণের হয়, এবং প্রতিটি ধরণের পেছনে আলাদা টিম এবং টেকনোলজির প্রয়োজন হয়।
কিছু জনপ্রিয় গেমের ক্যাটাগরি:
১. অ্যাকশন গেম
যেমন PUBG, Call of Duty—যেখানে খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াশীল হতে হয়।
২. অ্যাডভেঞ্চার গেম
যেমন The Legend of Zelda, যেখানে গল্প এবং এক্সপ্লোরেশন গুরুত্বপূর্ণ।
৩. রেসিং গেম
যেমন Need for Speed বা Asphalt।
৪. পাজল গেম
যেমন Candy Crush বা Sudoku।
৫. রোল-প্লেয়িং গেম (RPG)
যেমন Skyrim বা Final Fantasy।
৬. স্পোর্টস গেম
যেমন FIFA বা Cricket 22।
এই ক্যাটাগরিগুলো ছাড়াও রয়েছে সিমুলেশন, হরর, এবং ওপেন-ওয়ার্ল্ড গেম।”
গেম ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি এবং আয়
“গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধমান ইন্ডাস্ট্রি।
- ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গেমিং ইন্ডাস্ট্রির আকার ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
- মোবাইল গেম ইন্ডাস্ট্রি এর বড় একটি অংশ।
বাংলাদেশেও সম্ভাবনা বাড়ছে।
অনেক স্টুডিও যেমন Playnoob,Thundergames, Kolpoverse, Hamba Games, Rise UpLabs, M7 Productions, Thundergames আন্তর্জাতিক মানের গেম তৈরি করছে।
আপনি গেম ডেভেলপার হয়ে কীভাবে আয় করতে পারেন?
- ফ্রিল্যান্সিং: গেম প্রজেক্টের জন্য কাজ করতে পারেন।
- ইন্ডি গেম ডেভেলপমেন্ট: নিজেই গেম বানিয়ে প্লে-স্টোর বা অ্যাপ-স্টোরে আপলোড করে আয় করতে পারেন।
- জব: বড় স্টুডিওতে কাজ করলে একজন গেম ডেভেলপারের গড় বেতন বাংলাদেশে ৩০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা। আন্তর্জাতিকভাবে এটি $৫০,০০০ বা তার বেশি হতে পারে।”
গেম ডেভেলপমেন্টে কী শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে?
“অনেকেই মনে করেন, গেম ডেভেলপার হতে হলে অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্স বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হবে।
আসলে তা নয়!
আপনার যদি সৃজনশীল চিন্তা, কোডিংয়ের আগ্রহ, এবং লার্নিং মনোভাব থাকে, তাহলে আপনি নিজে থেকেই শিখতে পারেন।
অনেক ফ্রি প্ল্যাটফর্মে শিখতে পারেন, যেমন:
- Unity Learn
- Unreal Engine Tutorials
- YouTube Channels
গুগল এ যেয়ে এই কীওয়ার্ড গুলু সার্চ করলেই আপনি নেসেসারি লিংকস পেয়ে যাবেন
তবে একটি ডিগ্রি থাকলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আজকের ভিডিও থেকে আশা করি গেম ডেভেলপমেন্ট এবং এর জগৎ সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই যাত্রাটা শুরু করার জন্য সবচেয়ে বড় দরকার আপনার ইচ্ছা এবং একটু একটু করে শেখার মনোভাব।
ভবিষ্যতে আমি আরও ভিডিও বানাবো, যেখানে শেয়ার করব—
- কীভাবে গেম ডেভেলপমেন্ট শেখা শুরু করবেন।
- গেম ইন্ডাস্ট্রি এবং আয়ের সম্ভাবনা।
- কীভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গেম ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
আপনারা যদি এই বিষয়গুলোতে আগ্রহী হন, তাহলে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকনটি চাপতে ভুলবেন না। আপনারা কোন বিষয় নিয়ে আরও জানতে চান, নিচে কমেন্টে জানাবেন। আমি সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও বানাতে চেষ্টা করব
আর হ্যাঁ, আমি একটি ফেসবুক কমিউনিটি পরিচালনা করি, যেখানে আমরা একে অপরকে শেখার এবং বেড়ে ওঠার জন্য সাহায্য করি। এর লিংকটি দেওয়া আছে ডেসক্রিপশন বক্সে। যোগ দিন এবং আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন।
এই আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরো পড়ুনঃ সিপিএ মার্কেটিং কি এবং কিভাবে আয় করবেন?