গত কয়েক বছর ধরে একটা ব্যাপার নিয়ে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সবাই চিন্তিত—বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা ‘অফিশিয়ালি’ আর ‘আনঅফিশিয়ালি’ বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ বিদেশে ব্যবসা করতে গিয়ে টাকা পাঠাচ্ছেন, কেউবা বিনিয়োগ বা সেভিংয়ের নাম করে টাকা বাইরে রাখছেন।
কেন এই টাকা বাইরে যাচ্ছে?
- দেশের কিছু বড় ব্যবসায়ী বা প্রভাবশালীরা নিরাপদ ও লং-টার্ম রিটার্নের জন্য বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন।
- কেউ কেউ বিদেশে বাড়ি, ফ্ল্যাট, এমনকি সেকেন্ড সিটিজেনশিপ কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন।
- অনেকেই দেশের অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বাইরে টাকা রাখাকে ‘স্মার্ট’ মনে করছেন।
এখন সরকার কী করছে?
সরকার এই টাকা ফেরত আনার জন্য কয়েকটা উদ্যোগ নিচ্ছে:
১. অ্যামনেস্টি বা ক্ষমার সুযোগ—যারা টাকা বাইরে রেখেছে তারা কিছু নির্দিষ্ট ট্যাক্স দিয়ে দেশে ফেরাতে পারবে।
২. বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো—যাতে ফিউচার মুভমেন্ট ঠেকানো যায়।
৩. বৈধ ইনভেস্টমেন্ট রুট খোলা—যাতে প্রবাসী বা বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশে টাকা আনতে আগ্রহী হন।
বিজনেস লিডাররা কী শিখতে পারে?
১. দেশীয় বিনিয়োগকে বিশ্বাস করুন
যে টাকাগুলো বাইরে রাখা হচ্ছে, সেই পরিমাণ রিটার্ন এখন দেশের অনেক সেক্টরে পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে renewable energy, agro-tech, health-tech, logistics ইত্যাদি সেক্টরে।
২. স্বচ্ছতা আর ট্র্যাকিং গুরুত্বপূর্ণ
আপনার ব্যবসা যত বড়ই হোক না কেন, যদি টাকার ব্যবহার স্বচ্ছ না হয়—নেতিবাচক নজরদারি হবেই।
৩. বৈধ রুটে ইনভেস্ট করুন
বিদেশে টাকা পাঠানোর আগেই ভাবুন, কোনো দরকার ছাড়া টাকার মুভমেন্ট আপনাকে ভবিষ্যতে বিপদে ফেলতে পারে।
আমরা কোন বাংলাদেশ চাই?
একটা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে টাকা বিদেশে পাঠানো নয়, বরং দেশেই সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে বিনিয়োগ করাই হচ্ছে টেকসই অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি।
আপনি একজন কর্পোরেট লিডার হলে এখনই ভাবুন—দেশে থেকে কিভাবে আপনি টাকাকে multiply করতে পারেন।
শেষ কথা:
টাকা বিদেশে পাঠিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে না ছুটে, দেশের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান আর স্মার্ট ইনভেস্টমেন্টের পথে এগিয়ে যাওয়া এখন সবার দায়িত্ব।




