একটা সময় দেশে ব্যবসা হিসেবে শুধুমাত্র পোষা প্রাণীর কেনাবেচা হতো। বর্তমানে দেশের সব জেলাতেই পোষা প্রাণী বেচা কেনা সহ এর খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক পণ্যের বাজার বেড়েছে।
বর্তমানে দেশের মানুষের জীবনধারা এবং আয় বৃদ্ধির কারণে অনেকেই বাড়িতে পোষা প্রাণী পালন করে থাকেন। বাড়ির পোষা প্রাণীদের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করা, তাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে প্রাণীকে স্বাচ্ছন্দের জীবন দেওয়ার চেষ্টা করেন অনেকেই। পোষা পানি যত্ন আঁত্তিতে তাদের খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক এর বেশ প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই আগের তুলনায় প্রাণীর যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর চাহিদা বেড়েছে।
প্রায় দশক আগে প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো পোষা প্রাণী যত্নে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রাস্তা থেকে অসুস্থ প্রাণী উদ্ধার কাজ শুরুর পর থেকে রাজধানীজুড়ে পোষা প্রাণী উদ্ধারকর্মী ও প্রাণী দত্তক নেওয়া ব্যক্তির সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।
বর্তমানে প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পোষা প্রাণীর খাবার ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রির হার আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। মূলত করোণা কালীন সময় লকডাউনে পোষা প্রাণীর খাদ্য, ঔষধ এবং আনুষঙ্গিক এর চাহিদা বেড়ে যায়। মহামারির সময়ই জনপ্রিয়তা পায় পোষা প্রাণীর খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক।
পেডিগ্রি, লরা, উইসকাস, রেফ্লেক্স, মিকো, মিটো, প্রো ডায়েট ব্র্যান্ডের এসব খাবার সুপার শপ, কাঁটাবন অভিজাত এলাকা ছাপিয়ে এখন মিলছে অনলাইন ও পাড়া-মহল্লার দোকানেও। এইসব প্রাণী বিক্রেতারাই খাবার বিক্রি করেন এবং অধিকাংশ খাবারই প্রক্রিয়াজাত এবং আমদানি করা। পাখির জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ, শস্যদানা, গম, ধান, সরিষা, তিল, তিসি, কাউন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে।
অর্থাৎ বছরে শতকোটি টাকা লেনদেন হয় পোষা প্রাণীদের খাবার আমদানিতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার পোষা প্রাণীর খাবার ও লালন-পালন করার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয় এবং বাজার প্রতি বছর ২০ শতাংশেরও বেশি হারে বাড়ছে।
২০১৭ সালের তুলনায় পোষা প্রাণীর খাবার, খেলনা এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি ৭০-৮০ শতাংশ বেড়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোষা প্রাণীর খাবার ও আনুষঙ্গিক পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থ্রিএস ইমপেক্স ২০০০ সালে ব্যবসা শুরুর সময় মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার খাবার ও পণ্য বিক্রি করা হত।
এই ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এখন তার বিক্রি বেড়ে প্রায় দুই কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, পোষা প্রাণীর প্রতি মানুষের যত্নশীলতা দিন দিন বাড়ছে। তাই এসব পণ্যের বাজারও বড় হচ্ছে তবে তা এখনো সংগঠিতভাবে হচ্ছে না।