বাংলাদেশের উদীয়মান স্টার্টআপ খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ৯০০ কোটি টাকার একটি স্টার্টআপ ফান্ড চালু করার ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
কেন এই ফান্ড?
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য:
- প্রাথমিক ও গ্রোথ স্টেজ স্টার্টআপগুলোকে মূলধন সহায়তা দেওয়া
- নতুন উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করে তোলা
- প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিষেবা খাতে উদ্ভাবনী ব্যবসা মডেলকে উৎসাহিত করা
- দেশীয় এবং বৈশ্বিক বাজারে স্টার্টআপগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মансুর এই উদ্যোগকে “স্টার্টআপ বাংলাদেশকে একটি পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার কৌশলগত পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কারা পাবেন এই ফান্ড?
- প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপ
- যেসব স্টার্টআপ ইতোমধ্যে গ্রোথ স্টেজে রয়েছে
- ইনোভেশন-ভিত্তিক এবং টেকসই ব্যবসা মডেল যাদের রয়েছে
- নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন
এই ফান্ডের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলো শুধুমাত্র অর্থ নয়, বরং পরামর্শ, নেটওয়ার্কিং এবং বাজার সংযোগ–এই সকল দিক থেকে সহায়তা পাবে।
অর্থায়ন কীভাবে হবে?
বাংলাদেশ ব্যাংক এই ফান্ড পরিচালনা করবে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর মাধ্যমে। উদ্যোক্তারা আবেদন করে এই ফান্ডের আওতায় ঋণ বা ইকুইটি বিনিয়োগ হিসেবে অর্থ পেতে পারবেন।
- ইন্টারেস্ট রেট হবে তুলনামূলকভাবে কম
- অর্থায়নের মেয়াদ ও শর্ত স্টার্টআপের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে
স্টার্টআপদের জন্য কী সুযোগ তৈরি হবে?
- বিনিয়োগ সংগ্রহের ঝুঁকি কমবে
- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক্সপানশনের সুযোগ বাড়বে
- পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব গঠনের পথ সুগম হবে
- নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দরজা খুলবে
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি উদ্যোক্তাদের জন্য কেবল অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, বরং ভবিষ্যতের ভরসা। এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আলোচিত বিষয়সমূহঃ
স্টার্টআপ ফান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, উদ্যোক্তা সহায়তা, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, স্টার্টআপে বিনিয়োগ
তথ্যসূত্র: