এবার ইউটিউব, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও করা যাবে লক্ষাধিক টাকা আয়।
অতীতে হোয়াটসআ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র ছবি, ভিডিও ও মেসেজ শেয়ার করতে।
তবে বর্তমানে ইউটিউব, ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রামের মতোই টাকা উপার্জন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ (whatsapp) ব্যবহার করে।
যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য এই অ্যাপে যোগ করা হয়েছে নিত্য নতুন কিছু ফিচার্স।এই সাম্প্রতিক কালের যে নতুন ফিচার্সগুলি এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলস যেখানে বড় বড় তারকা, সেলেব্রিটি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফলো করার সুবিধা রয়েছে।
তবে মেটা জানিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মটিতে তাদের পাশাপাশি একজন সাধারণ মানুষও খুলতে পারবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। অর্থাৎ যে কেউ চ্যানেল খুলে টাকা আয় করতে পারবে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলস সকলের জন্য উন্মুক্ত তাই ইউজাররা নিজের চ্যানেল বানিয়ে কমিউনিটি তৈরি করার সুযোগ পাবে এবং শুধু সামাজিক পরিচিতি নয় বেশ কিছু উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইউটিউব, ফেসবুকের মত করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আয় করার বিশেষ কিছু নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা আয় শুরু করার জন্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস প্রয়োজন –
- স্মার্টফোন।
- ইন্টারনেট সংযোগ।
- জিমেইল অ্যাকাউন্ট।
- একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
- একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থাকতে হবে বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকতে হবে।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল তৈরি করবেন।
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ বিসনেজ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং এর পর আপডেট ট্যাবে প্লাস (+) আইকনে ক্লিক করতে হবে।
২. এই অপশনটিতে ক্লিক করার পর নিউ চ্যানেল অপশন দেখতে পাবেন।
৩. নিউ চ্যানেলে অপশনে ক্লিক করে গেট স্টার্টেডে প্রবেশ করে অনস্ক্রিন ইনস্ট্রাকশনসে লেখা কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এরপর চ্যানেলের নাম দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
তবে হোয়াটসআ্যাপ চ্যানেল তৈরি করার জন্য অবশ্যই এটি ভেরিফাইড করতে হবে। ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলে আলাদাভাবে কোন টাকা প্রদান করতে হবে না। এক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের সাথে সমন্বিত থাকতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অনেকেই জানলেও এটি হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে যেকোন ব্র্যান্ডের বা সংস্থার পণ্য বিক্রি করলে তার থেকে উৎপন্ন রেভেনিউ-এ নির্দিষ্ট অংশের লাভ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও সেই সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারদের সেই সকল পণ্যের লিঙ্ক পাঠানো যাবে এবং যা থেকে আয় করা যাবে।
লিংক শর্টনার।
এরমধ্যে একটি উপায় হচ্ছে লিংক শর্টনার ওয়েবসাইট। এটি এমন ওয়েবসাইট যা থেকে যে কোনো বড় লিংকে ছোটো করা যায়। ইন্টারনেটে এমন অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে থেকে একটি ছোটো লিংক তৈরি করে এমন অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি যদি লিংকটি ছোটো করে এটি থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে।
তবে একটি ছোটো লিংক তৈরির সাথে সাথেই আয় না করা গেলেও যখনই সেই লিংকটি যে কোনো জায়গায় শেয়ার করা হবে এবং কোনো ব্যবহারকারী যদি লিংকটিতে ক্লিক করেন,তখন আপনি টাকা পাওয়া যাবে।
রেফারেল প্রোগ্রাম।
হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন লোকেদের সাহায্যে রেফারেল প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। গুগল প্লে-স্টোরে এরকম অনেক অ্যাপ রয়েছে যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে রেফারেন্স প্রোগ্রাম এর সাহায্যে টাকা আয় করা যাবে।
যেখামে এই ধরনের প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে টাকা তোলা যায় এবং আজকাল এরকম হাজারো নতুন অ্যাপ বাজারে আসছে যেগুলি রেফার করে টাকা আয় করা যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করা।
সম্প্রতি এমন বহু লোক রয়েছে যারা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা আয়ের জন্য অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে, অর্থাৎ ব্যবসায়িক কাজে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করার জন্য অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য অর্থ ব্যয় না করে ব্যবসা শুরু করার একটি খুব ভালো উপায় হলো হোয়াটসঅ্যাপ।
পেইড প্রমোশন।
বর্তমানে ব্যবসার কাজে প্রচারণার জন্য পেইড প্রোমোশন হিসেবে ব্যবসার পন্য প্রচারণা করা হয়।বর্তমান সময়ে অনেকেই পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং তা বিক্রি করতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপণ বচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংও করা যাবে।
বর্তমানে ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন আয়ের উৎস। ঠিক তেমনি এমনি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই এখন হোয়াটসঅ্যাপেও সহজেই টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।